Saturday, January 23, 2021

Wikileaks-এর আলোচিত leaks..

 সাড়া জাগানো আলোচিত website wikileaks...



বর্তমান সময়ে এটার কার্যক্রম আর তেমন না থাকলেও আসুন একটু ফিরে দেখি।

দেখি, wikileaks পর্দার অন্তরাল থেকে যেসব বিষয় বিশ্ববাসীকে জানিয়েছিলো, তার একটা তালিকা। 


গুরুত্ব বিচারে কিছু আলোচিত leaks এর তালিকা তুলে ধরলাম-

প্রথমে আসুন দেখি, মার্কিন state departments আর embassy গুলোর ভেতরকার চালাচালি হওয়া কিছু গোপন বার্তাঃ

(ইতালির সাবেক প্রেসিডেন্ট Berlusconi-কে নিয়ে)

>> “some inside the US government dismiss Berlusconi as feckless vain and ineffective as a modern European leader”

(খেয়াল করে দেখুন, ইউরোপীয় নেতাদের ব্যাপারে তাদের ধারনা খুব একটা ভালো না। ইতালিয়ান নেতা সিলভিও বার্লেস্কুনি'কে নিয়ে রীতিমত উপহাস করতেছে মার্কিনীরা।)

(জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মার্কেলের ব্যাপারে)


>>“Merkel is risk averse and rarely creative”

অর্থাৎ মার্কেলের ব্যাপারেও পজিটিভ না মার্কিনীরা। মার্কেলের নাকি ক্রিয়েটিভির অভাব আছে। 

(লিবিয়ার প্রয়াত নেতা গাদ্দাফির ব্যাপারে)


>> “Gadhafi relies heavily on his long time ukrainian nurse, who has been described as a ‘voluptuous blonds”

অর্থাৎ ইউক্রেনিয় মেয়েদের গাদ্দাফি কাছেকাছেই রাখে। এগুলো গাদ্দাফির দূর্বলতা। 

এই দূর্বলতাটাকেই হাইলাইট করা হয়েছে। অর্থাৎ পূর্ব ইউরোপিয়ান সোনালি চুলের সুন্দরীদের প্রতি গাদ্দাফির মোহ'টাকে হাইলাইট করা হয়েছে। 

( সৌদি বাদশাহ কিং আব্দুল্লাহ’র ব্যাপারে সৌদিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদুতের পাঠানো বার্তা)


>>“ It was related that king Abdullah remains a heavy smoker, regularly receives hormone injections and uses viagra excessively”

(**  after all, King Abdullah জন্মনিয়েছিলেন ১৯২৪ সালে। এই বুড়া মরার আগেও ভাইগ্রা খাচ্ছে আর আমদ ফুর্তি করতেছে। তবে এভাবে চললে যেকোনো সময় ইন্তেকাল করতে পারে। এই বিষয়টাই ইঙ্গিত করা হয়েছে।  )


(সৌদি আরব নিয়ে ২০০৬ সালের দিকে)


>>“ Saudi energy facilities remain highly vulnerable to external attack”  


( ২০০৮ সালের দিকে)


>>  “The secretary of defense (USA) pointedly warned that urgent action is required without progress in the next few months. We risk nuclear proliferation in the middle east”


( ** এটা কোন দেশ নিয়ে, কি ব্যাপারে বলেছিলো, এটা clear না ) 


অক্টোবর ২০১০

দুইজন তিউনিসিয়ান সাংবাদিক Sami Ben Gharbia আর Malek Khadhraoui প্রায় ৩০০ সিক্রেট মার্কিন বার্তা wikileaks মারফত হাতে পান। এসব ছিল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে কাছে তিউনিসিয়ান নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদুতের বার্তা। 

এগুলোতে তিউনিসিয়ার সরকার নিয়ে তাদের মন্তব্য। 


তখনও wikileaks এতো পপুলারিটি পায় নি। মানুষ কেবল নাম শুনতে শুরু করেছে জুলিয়ান আসাঞ্জের। 

এই সময় তিউনিসিয়াতে ক্ষমতায় ছিলেন মার্কিন, ফ্রেন্স আর ব্রিটিশ আজ্ঞাবাহী প্রেসিডেন্ট জয়নুল আবেদিন বেন আলী।


 

তো কি ছিলো এসব তারবার্তায়। কিছু দেয়া যাক।


>>"Corruption in Tunisia is getting worse. Whether its cash, services, land, property, or yes, even your yacht, President Ben Ali's family is rumored to covet it and reportedly gets what it wants."


অর্থাৎ নিজেদের পোষা আজ্ঞাবাহী লোক তিউনেশিয়ায় ক্ষমতায় বসে থাকার পরও গোপনে মার্কিনীরা ঠিকই তার অকাম কুকাম নিয়ে পরিহাস করতো। 



উপরের ছবির বামপাশের মহিলা বেন আলীর স্ত্রী। আর ডানপাশের মেয়েটি Nesrine.. বেন আলীর মেয়ে।

নেসরির স্বামী বেন আলীর আশীর্বাদে বিলিয়নীয়ার হয়ে যান বিয়ের কিছুদিনের ভেতর। 

তাদের বিলাসিতার জীবনের খবর wikileaks এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে সাধারণ তিউনিসিয়ানদের কাছে। যারা বহুদিন ধরেই অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত।

২০১০ সালের অক্টোবরে তিউনেসিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদুত তাদের luxurious villa তে দাওয়াত পান।

দাওয়াত খেয়ে গিয়ে তিনি embassy থেকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে যে তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন তা wikileaks এ ফাঁস হওয়া অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ leaks..


>> “"Ancient artefacts everywhere, Roman columns, frescoes, and even a lion's head from which water pours into the pool.

The opulence with which El Materi and Nesrine lived and their behavior make clear why they and other members of Ben Ali's family are disliked and even hated by some Tunisians” 

বেন আলীর মেয়ে আর মেয়ের জামাই যখন তাদের ঘরে পোষা বাঘ সিংহকে গরুর মাংস গেলাতো, তখন অনেক সাধারণ তিউনিসিয়ান নাগরিক ঠিকমত দুবেলা খেতে পারতো না। 

তিউনিসিয়ায় তখন চরম বেকারত্ব, economic unrest, দ্রব্যমুল্যের দাম আকাশচুম্বী। 

এমন সময় ফাঁস হয় এসব বার্তা।

ফেসবুক, twitter এর মত সোশ্যালমিডিয়ায় প্রচার হতে থাকে।

ফলাফল, মানুষ রাস্তায় নামে। শুরু হয় বিপ্লব।

বেন আলীর পতন হয়।

তিউনিসিয়ার দেখাদেখি তা একসময় আরব বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। যাকে পরে “আরব বসন্ত” বলে সবাই ডাকে।

(** এখানে একটা বিষয় খেয়াল করুন। বেন আলীর সাথে কিন্তু রীতিমত দহরম মহরম ছিলো মার্কিন সরকার। কিন্তু তারা জানতো সে আসলে কেমন। এবং গোপনে তার ব্যাপারে কিন্তু মার্কিনীদের ধারনা নেতিবাচকই ছিলো। তা সামনাসামনি তারা বেন আলীর যত প্রশংসায় করুক না কেন, ভেতরে ভেতরে ভালো জানতো না! )


২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধে একসাথে গেছিলো আমেরিকা আর ইংল্যান্ড। 

তো ব্রিটিশ আর্মি সম্পর্কে মার্কিনদের মুল্যায়ন শুনুন। বার্তাটি কাবুল থেকে ৯ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হয়।


>>“The british army are not up to the task of securing Helmand”

(“এটা ফাঁস হবার পর on air আমেরিকার তখনকার পররাষ্ট্র সচিব হিলারি ক্লিনটন ব্রিটিশ সরকারের কাছে ক্ষমা চায় আর দুঃখ প্রকাশ করে)

ব্রিটিশ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন নির্বাচিত হবার কিছুদিন আগে Bank of England এর তৎকালীন গভর্নর মারভিন কিং এবং মার্কিন রাষ্ট্রদুতের ভেতরকার কথোপকথনের leak টি ছিলো আরো ভয়াবহ-


>>"King expressed great concern about Conservative leaders' lack of experience.

Cameron and Osborne have only a few advisors and seemed resistant to reaching out beyond their small inner circle."

খেয়াল করে দেখুন, এই তারবার্তা চালাচালির সময় ক্যামেরন কিন্তু বিরোধী দলে। অথচ ক্ষমতায় গেলে সে দেশ চালাতে পারবে কিনা, সেটা নিয়ে bank of england এর গভর্নরের সাথে আগেভাগেই আলোচনায় বসে গেছে আমেরিকা। তার একরকম জানেই যে সে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবে !! 

এতে খুব একটা অবাক হইনি। এই কাজটা আমেরিকা অনেক ভালো পারে বলেই হয়ত এতোদিন ধরে সুপারপাওয়ার হিসেবে পৃথিবী ডমিনেট করতেছে।

এক বছর পেছনে যাওয়া যাক। ২০০৯ সাল। ইভান লুইস (Ivan Lewis) ছিলেন তখনকার টনি ব্লেয়ার সরকারের Foreign office Minister 

তো কোনো এক কারণে মার্কিন সরকারের নজর পড়ল তার দিকে। তো কি কারন হতে পারে??

আসুন দেখি মার্কিন তারবার্তা তাকে নিয়ে কি বলে !!


>>" Lewis reportedly remains a bit of a hound dog where women are concerned. Contacts who know him well report he has manic depressive tendencies. He's very up one minute, very down the next and at least one FCO colleague has described Lewis as a 'bully'." 

** খেয়াল করুণ। এটা গোয়েন্দাসংস্থাগুলোর অনেক পুরন recruitment পদ্ধতি। মানুষের সবচেয়ে দুর্বল দিক খুঁজে বের করে তারা। লুইসের নারীর প্রতি দুর্বলতা এই জন্যেই তাদের কাছে এতোটা relevant.. এবং এক জায়গায় তারা বলতেছে “contacts who know him well reported... “ মানে ইতিমধ্যে লুইসের পেছনে বেশ ক’জন রমনী লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। 


জাতিসংঘের কথায় আসি।

এটা কমবেশি সবাই জানে, প্রতিটি দেশের হয়ে নিযুক্ত জাতিসংঘের টিমগুলোতে অল্পসল্প তাদের গোয়েন্দা সংস্থার লোক থাকে।

স্নায়ু যুদ্ধের সময় জাতিসংঘের রুশ অফিস একরকম ব্যবহার করা হত নিউইয়র্কের GRU আর KGB অফিস হিসেবে।

এতোটা না হলেও আন্দাজ করা যায়, প্রতিটি দেশের প্রতি ১০ জন ডিপ্লোম্যাটের ২ জন প্রতিনিধি তার নিজ দেশের গোয়েন্দাসংস্থার সাথে যুক্ত।  

কিন্তু আমেরিকা তার নিযুক্ত সকল জাতিসংঘের ডিপ্লোম্যাটদের অন্যদেশের প্রতিনিধিদের উপর গোয়েন্দাগিরি করতে রীতিমত বাধ্য করে।


>>“The Secretary of State requesting US diplomats to do their best to collect personal and private information on foreign diplomats at the UN.

Even the Secretary General and members of the Security Council were targeted.

Plans and intentions of the UN Secretary General, Biometric information on UN Security Council Permanent Representatives."

>> “"Reporting officers should include as much of the following information as possible – credit card account numbers, frequent flyer account numbers, work schedules, and other relevant biographical information."

এবার আসুন মিশরের হোসনি মোবারকের ব্যাপারে। এটা ছিল আরো একটা অবাক করা leaks..

প্রায় তিন দশকের মত আমেরিকার আজ্ঞাবাহী ছিলেন হোসনি মোবারক। কেউ কেউ তাকে আমেরিকার পাপেট ফারাও বলতো।

প্রতিবছর মিশর সরকারকে ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার aid দিতো আমেরিকা।

মোবারক আমেরিকা আর ইসরাইলের সাথে ভালো সম্পর্ক রেখেছে সবসময়।  


কিন্তু leaks বলে, গোপনে মার্কিনিরা তাকে সরাতে চাচ্ছিলো !!!  

এটা ৬ই মার্চ, ২০০৬... কায়রো থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো তারবার্তা -


>>“We do not have a silver bullet, but we can press reforms that will lead, inexorably, to the 'death by 1,000 cuts’ of Egypt's authoritarian system."

ব্যাপারটা বোধগম্য হল না। কিছু ব্যাপার হয়ত আমরা আমজনতা কখনো বুঝবো না।

মোবারক তো আমেরিকার সব কথা শুনতো!!  তাহলে সমস্যা কি?? তারে প্রয়োজনে মেরে ফেলতেও রাজি আমেরিকা। ওইদিন আরো একটা বার্তায় মোবারক’কে নিয়ে বলা হয় –


>>  “We should aim at influencing the narrow group of individuals that surround him including his son Galam and wife Susane”


wikileaks থেকে এটা সবাই জানতে পারে, কোনো এক কারণে মোবারকের সাথে আমেরিকার সম্পর্কে গোপনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো।

এটা ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে পাঠানো বার্তা-


>> “"US and Egyptian differences have drained the warmth from the relationship on both sides."


মুলত ওবামা প্রশাসন দায়িত্ব পাবার পর থেকেই মোবারকের রিজিমের বিদায়ঘণ্টা বাজতে শুরু করে। 

লক্ষ্য করুণ, ২০১১ সালে আরব বসন্ত হয়। আমরা জানি যে তিউনিসিয়ার দেখাদেখি অনুপ্রানিত হয়ে আমজনতা রাস্তায় নেমেছিলো পরিবর্তনের জন্য।

এখানেই একটা Twist

২০০৯ সালের দিকে Ahmed Salah নামের A prominent opposition activist কায়রোর আমেরিকান দুতাবাসে যায়।

তার সাথে মার্কিনীদের আলাপচারিতা নিয়ে পরে ওয়াশিংটনে তারবার্তা পাঠানো হয়-


>> "Salah claimed that several opposition forces have agreed to support an unwritten plan for a transition to a parliamentary democracy, involving a weakened presidency before the scheduled 2011 presidential elections."

অথচ ২০১১ সালে যখন আরব বসন্ত হয় তখন মার্কিন সরকারের ভাবখানা ছিলো, তারা অবাক। গন-জাগরণে তারা বিস্মিত। 

বাধ্য হয়ে তাদের বন্ধু মোবারকের বিপক্ষে তাদের যেতে হচ্ছে !!কারণ আমেরিকার মানুষ সবসময় জনমানুষের পক্ষে অবস্থান নেয়!! গণতন্ত্র সেটাই বলে। হা হা হা... 


যদিও wikileaks অনুসারে, আমেরিকা এসব ব্যাপারে দু’বছর আগে থেকেই জানতো। 

typical american hypocrisy


এবার একটু ইউরোপে আসি।

জার্মানি।

নিচের এই লোকটির নাম Khalid El-Masri



তিনি একজন জার্মান নাগরিক।

তাকে ম্যাসিডোনিয়া থেকে সিআইএ-এর undercover operative-দের  দল কিডন্যাপ করে এবং আফগানিস্তানের গোপন কারাগারে নিয়ে যায়।

তাকে অত্যাচার করে।

কিন্তু চার মাস পর আবার মুক্তিও দিয়ে দেয়!!  ফিরিয়ে দেয় জার্মানির কাছে।

নিচের ছবিটা মুক্তির সময়কার। 



মুক্ত হয়ে সে জার্মান সরকার থেকে শুরু করে মার্কিন সরকারের কাছেও জানতে চেয়েছিলো কি কারণে তাকে আটক করা হয়েছিলো।

তারা কোনো জবাব দেয় নি।

জবাব অনেকদিন পর আল মাসরি পেয়েছিলো leak হওয়া গোপন জার্মান আমেরিকান তারবার্তায়।


>> “"It was a mistake to take Al Masri."


(৬ই অক্টোবর, ২০০৭) 

তো জার্মানরা রেগে যায়।

‘ভুল করে একজন’কে কিডন্যাপ করে চার মাস জেলে রেখে মারধোর করা" কোনো অজুহাত হতে পারে না।

জার্মান গোয়েন্দাসংস্থা BND, আল মাসরি কেসের সাথে যুক্ত ১৩ জন সিআইএ অপারেটিভকে সনাক্ত করে।

জার্মানরা international arrest warrants ইস্যু করে তাদের জন্য। 

ব্যস, এবার শুনুন মুখে মিষ্টি আর অমায়িক সুরে কথা বলা আমেরিকার আসল রুপ।


>>“issuance of international arrest warrants would have a negative impact on our bilateral relationship."

অর্থাৎ মেসেজ একদম স্পষ্ট। সিআইএ ভুল করুণ আর যাই করুণ, germany should back off and stay out of CIA affairs ...জার্মানরা arrest warrant প্রত্যাহার করে। 



এবার আসি একেবারে বড়সড় অর্থাৎ রাঘোব বোয়ালদের ব্যাপার স্যাপার নিয়ে। 

রাশিয়া, ক্রেমলিন আর ভ্লাদিমির পুতিন।

ক্রেমলিনের একজন অফিসিয়ালের সাথে কিরগিস্তানের রাষ্ট্রদুতের গোপন আলাপচারিতে রেকর্ড করে CIA...সেটা ২০০৬ সালে তারবার্তায় পাঠানো হয় আমেরিকায়। তাতে দেখা যায়, ক্রেমলিনের সেই অফিসিয়াল বলতেছে-


>>"Russia is now playing a new great Game for all its worth”


১০ই অক্টোবর, ২০০৮ সালে কাজাখস্তানের রাষ্ট্রদুত আমেরিকাতে গোপন তারবার্তা পাঠায়-


>> “Russia has zero sum tunnel vision and wants you (american) totally out of central asia”


অর্থাৎ পুতিন উঠেপড়ে লেগেছে আমেরিকানদের সেন্ট্রাল এশিয়া থেকে ভাগিয়ে দিতে। 

২০ জুলাই, ২০০৭, তিবলিসি, জর্জিয়া থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়, 


>> “ The Russians are aggressively playing a high stakes covert game and they consider few if any holds barred”


অর্থাৎ রাশিয়া ডেস্পারেট। 

আমেরিকার বিরুদ্ধে তারা কোভার্ট অপারেশনে নেমেছে। 

১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ (মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে লন্ডনে)


>> “secretary of state, Hilary Clinton relays concern about Russian plans to transfer the S-300 long range air defense system to Iran”


২০১০ সাল, মাদ্রিদ, স্পেন ( US secretary of defense to a Spanish diplomate) 

>>“Russia is a complete mafia states. The government is now an oligarchy run by the security services”  


Brussels, Belgium

28th April, 2004


বেলজিয়াম সরকার আর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের তারবার্তা


>>“putin eyes turn to those of a killer.”


সোজা বাংলায়, পুতিন থেকে সাবধান। এই লোক ভয়ঙ্কর পাবলিক। 

৬ই জানুয়ারি, ২০১০

(মস্কোর মার্কিন দুতাবাস থেকে পাঠানো তারবার্তা )


>> “ Putin allegedly said it was in Russia’s interest that NATO no longer exist”


গত অর্ধশতক ন্যাটো ছিলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকার first line of defense

সাবেক সোভিয়েত দেশগুলো এখন ন্যাটোতে ঢোকার ট্রাই করতেছে। অনেকে ঢুকে গেছে। এর মানে রাশিয়ার বর্ডারে আশেপাশে ন্যাটোর উপস্থিতি বাড়তেছে। যেটা রাশিয়ার কাছে মোটেও ভালো কিছু না।

২৮ টি দেশের ন্যাটো vs এক Russia


তো মার্কিন ডিপ্লোমেটদের কথাবার্তা একটু ভদ্রতা মাফিক হলেও রুশ হর্তাকর্তাদের কথাবার্তা তেমন মিষ্টি না।

১০ই আগস্ট, ২০০৮

তিবলিসি, জর্জিয়া’তে ক্রেমলিনের তারবার্তা

> “ The vice chair of the Russian parliament said: ‘we already warned you. Either you are on your knees to us, or your will freeze every winter”


এমনকি মার্কিন সরকারের সাথে space অর্থাৎ মহাশূন্যের দখল নিয়েও ঝামেলা বাধে ২০০৮ সালে।


>> “any purposeful interference with the US space system will be interpreted as an escalation in a crisis or conflict”


(এটা NRO কে দেয়া মার্কিন ডিফেন্স ডিপার্টমেন্টের বার্তা )

শেষ করবো ইরান’কে দিয়ে।

আমেরিকার ultimate nightmare হল নিউক্লিয়ার ইরান। 

ইরানে কোনো মার্কিন রাষ্ট্রদুত নাই। ইরানের সাথে আমেরিকার ডিপ্লোম্যাটিক সম্পর্ক নষ্ট সেই ১৯৭৯ সাল থেকে।

তো ইরানের যে CIA ভীষণ active, এটা না বললেও চলে।

ইরানের ভেতরে ও বাইরে ইরানের কর্মকাণ্ডের প্রতি নজর রাখার জন্য “Iran watchers” নামে একটা দলকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

বিভিন্ন দেশ থেকে Iranian watchers operative-দের ওয়াশিংটনে পাঠানো তারবার্তাগুলো দেখুন- 


London, 28th December. 2007

 "An Iranian law professor, well known in Iran-Watcher circles, offered his views on his childhood Friend, President Ahmadinejad."


27th April, 2007,

from বাকু, আজারবাইজান

>> “ The new iranian watcher position has increased our ability to report on iranian activities in Azerbaijan”


From London, 28th December, 2007

>> “ A long term operative for the Iranian Revolutionary guards provided london Iran watcher detailed written allegations.”


 From London, 5th Feb. 2008    

>> “Long time embasy contact Ali Reza Nurizadeh passed to london Iran watcher an allegation”


ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদের সাথে ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডের চিফের ঝামেলা বাধে ২০১০ সালের শুরুর দিকে।

২০০৯ সালের শেষের দিকে ইরানের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষের protest নামে। 

তাদের অভিযোগ, আহমাদিনেজাদ নির্বাচনে কারচুপি করেছে।

 প্রোটেস্ট বেশ কঠোরভাবে গায়ের জোরে দমন করেছিলেন আহমাদিনেজাদ। বেশকিছু হতাহত হয় এতে। ইরানের আর্মি চিফ এটার পক্ষে ছিলেন না।

এটা নিয়ে মার্কিন তারবার্তা পাঠানো হয় ওয়াশিংটনে।


From Baku, Ajerbizan

11 Feb. 2010

>>   “ Ahmedinejad’s statements infuriated Revolutionary Guard’s chief of staff Mohammed Ali Jafari who exclaimed: ‘it is you who created this mess !!’

Source said that Jafari then slapped Ahmedinejad in the face, causing an uproar and immediate call for a break in the meeting which was never resumed”  

ভেবে দেখুন, এটা একটা ভয়াবহ leak মার্কিনীদের জন্য।

আহমাদিনেজাদ’কে চড় মারতে মিটিং-এ বসে দেখেছে CIA source .. মানে বুঝতে পারলেন??


এটা সিআইএর জন্য এক ভয়াবহ ক্ষতি। নিশ্চয় ধরতে পারছেন ব্যাপারটা। ওই মিটিং-এ এমন কেউ উপস্থিত ছিল যে CIA তে গোপনে তথ্য দেয়। ইরান যে এই wikileaks এর কারণে সেই স্পাই'এর কথা জানতে পেরেছে, এটাই ইরানের জন্য বিশালকিছু। ভেবে দেখুন, প্রেসিডেন্টের ইনার সার্কেল পর্যন্ত CIA spy ঢুকে গেছিলো !! 

wikileaks এর এই leaks এর কারণে সে হয় ধরা পড়েছে পরে, অথবা এখন ইরানে নেই, জানের ভয়ে পালিয়েছে, এটা অনুমান করতেই পারি।

no wonder why america is so furious about Julien Assange and his Wikileaks... 


এবার দেখুন, কিছু দুমুখো সাপ কি বলে।

in public, সৌদি সরকার ইরানের সাথে “warm relation” maintain করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু পর্দার আড়ালে চলে ভিন্ন হিসাব।


20th April, 2010

** আমেরিকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদুতের বার্তার পেক্ষিতে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ভেতরে চালাচালি হওয়া তারবার্তা

>“The saudi Ambassador recalls the king’s frequent exhortations to attack Iran and so put an end to their nuclear weapons program. He told you to cut off the head of the snake”


সম্মবত উপরের মেসেজটি ডাইরেক্ট মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওভাল অফিসের জন্য লিখা হয়। 


আবার জার্মানির ব্যাপারটা খেয়াল করুণ।  

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তার কিন্তু স্থায়ী আসন নেই।

আমেরিকা, ব্রিটেন আর ফ্রান্সের সাথে তার যত ভালো সম্পর্কই থাকুক, ভেতরে কিছু জ্বালাপোড়া আছেই।

জার্মানির নিজের অনেক স্বার্থ আছে।

এবং জার্মানির সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক বানিজ্যিকভাবে অনেক বেশি ভালো। জার্মানির জ্বালানির জন্য সরাসরি রাশিয়ার উপর নির্ভর করতে হয়। সুতরাং কিছুটা হলেও UN এর ব্যাপারগুলোতে গোপনে রাশিয়ার সাথে লবিং রেখে চলে জার্মানি। যদিও মুখে অনেক কথায় বলে।


এটা খেয়াল করুণ।

From US embassy in Berlin, 30th January 2009

>> “ Despite tough talk on Iran in public, Senior German officials tell us in private that Germany remains again reluctant to pursue sanctions on iran”

অথচ আমরা পাবলিক কিন্তু জানি, ৬ জাতির আলোচনার টেবিলে এক রাশিয়া’ই কেবল ইরানের হয়ে কথা বলে।

আর বাকি সবাই ইরান’রে পারলে গিলে খায়।



এটা 27th December, ২০০৮ সালে আরব আমিরাত থেকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে পাঠানো বার্তা-


>> “ Al Qaeda is not going to get a nuclear bomb. Iran is in just a matter of time”


দুনিয়াতে আসলেই একটা লাইভ মুভি বা action Triller serial চলতেছে। আগেও চলেছে, ভবিষ্যতেও চলবে।



এসব সিরিয়ালের অভিনেতারা অভিনয় করেন সবচেয়ে বড় মঞ্চে। তাদের মঞ্চ এই গোটা দুনিয়া। আর আমরা দর্শক।

পার্থক্য এই যে ম্যাজিক দেখার মত আমরা এই action ট্রেইলর দেখে কেবল বোকা বনে যাই। 

No comments:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.