Saturday, January 23, 2021

টাইটানিকের কথা

 নিচের ছবির জাহাজ’টির নাম একটা বাচ্চা ছেলেও জানে। জাহাজ’টির নাম ‘Titanic’,

the largest ship afloat at that time, was considered unsinkable



কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, নিচের জাহাজ’টি আসলে Titanic নয়।

এর নাম Olympic, Titanic জাহাজের identical twin !! 

(নাম মুছে দিলে সে’সময় কেউ ধরতেও পারতো না, কোনটি Titanic, আর কোনটি অলিম্পিক) 

 

সত্যিটা হলো, Titanic was not “the largest” ship,

rather it was ‘one of the largest’ ship ever built at that time !! 

 

কিন্তু গত শতাব্দীর সবচেয়ে আলোচিত জাহাজটি ডুবেছে? নাকি জোর করে ডোবানো হয়েছে?? আর কোন জাহাজটি ডুবেছে?? টাইটানিক, নাকি অলিম্পিক?? আর যদি sabotage করে ডোবানো হয়ে থাকে, তাহলে কারা একাজ করেছে?? কেন করেছে?

একটু পেছন থেকে শুরু করি।

যারা রিসেন্ট ‘Global economic crisis’ নিয়ে হালকা পাতলা অনুসন্ধান করেছেন, তারা সবাই নিশ্চয় জানেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বড়বড় ব্যাংক ও ব্যাংকের কর্ণধার’দের সম্পর্কে।

JP Morgan, Goldman-Sachs, Morgan-Stanley, এরা হল মার্কিন অর্থনীতি বা মোটা দাগে বললে “সারা-দুনিয়ার অর্থনীতি” নিয়ন্ত্রণের খেলার সবচেয়ে বড় খেলোয়াড়।

এদের তৈরি ব্যাংকগুলো নামকরন করা হয়েছে এদের নিজেদের নামের সাথে মিল রেখে। JP Morgan / Goldman-Sachs / Morgan-Stanley ব্যাংকগুলো মার্কিনমুল্লুকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যাংক।

 

তো, John Pierpont Morgan (চিত্র-২) পঁয়ষট্টি বছর বয়সে, ১৯০৩ সালে, ইংল্যান্ডের বিখ্যাত Shipping কোম্পানি “white star line” কিনে নেন। 

কিনে নেবার পেছনে যথেষ্ট কারণ ছিলো।

 



 

সে সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ ইউরোপ থেকে ইমিগ্রেন্ট হয়ে “স্বপ্নের-দেশ”, আমেরিকা’তে পাড়ি জমাচ্ছিলো।

 সস্তা দামের টিকিটের কারনে ‘white star line’ ছিলো সাধারন মানুষের কাছে সবচেয়ে পছন্দের।

এখনকার আকাশ পথের Emirates airline-এর মত।

কিন্তু উচ্চবিত্ত?? 

তাদের তো luxurious cabin লাগবে   আলতুফালতু জাহাজে তো তারা উঠবে না। তাদের প্রেস্টিজ নষ্ট হয়ে যাবে না !!  

বাংলাদেশ থেকে জনৈক ধনী ব্যবসায়ী যুক্তরাষ্ট্র যেতে স্বাভাবিকভাবেই British airways ব্যবহার করবেন। ব্যাপারটা ছিলো অনেকটা তেমনই।

 

‘white star line’ কোম্পানির জাহাজগুলো আমজনতার কাছে অনেক জনপ্রিয় ও ভ্রমনের জন্য প্রথম পছন্দ হলেও, উচ্চবিত্তের পছন্দের বাইরে ছিলো। যদিও সে সময়ে ‘white star line’-এর জাহাজগুলো’তে বেশ ভালোই first class cabin এর ব্যবস্থা ছিলো।

 

 (ব্যাপারটা বাংলাদেশের BRTC বাসের মত। যত আধুনিক বাস’ই তারা আনুক না কেন, উচ্চবিত্ত বেশি পয়সা দিয়ে হলেও GREEN LINE-এর VOLVO তে উঠবে )

 

তো JP Morgan সাহেব এই বিশাল লাভজনক শিপিং ব্যবসা’কে আরো জনপ্রিয় করে তোলার উদ্যোগ নিলেন। ১৯০৭ সালে তিনি Northern Irish ship building কোম্পানি, Harland & Wolff-কে দায়িত্ব দিলেন ‘white star line’-এর জন্য তিনটি luxurious ship বানাতে।

এই তিনটি জাহাজের নাম হবে যথাক্রমে Olympic, Titanic এবং Britannic

 

একেবারে same সাইজের তিনটি জাহাজ বানিয়ে দুনিয়া’কে তাক লাগিয়ে দেয়া হবে, যা হবে সেই সময়ের বিচারে, the largest moving objects ever built  

এদের ভেতর Titanic আর Olympic হুবহু same ডিজাইনের identical twin.

 ( কিছু internal ছোটখাটো পার্থক্য ছাড়া। যেটা আমজনতার চোখে পড়ার প্রশ্নই আসে না )

 

তো, একই সাথে জাহাজ দু’টো তৈরির কাজ চলতে থাকে northern Ireland-এর Belfast শহরে। (চিত্র-৩)

 



 

ওদিকে, ১৯১০ সালে আমেরিকার (Jekyll Island, Georgia)-তে এক গোপন মিটিং আয়োজন করে পর্দার আড়ালে থাকা মার্কিনী মুল্লুকের সবচেয়ে প্রভাবশালী-ক্ষমতাধর লোকজন।

কিন্তু সাংবাদিকরা somehow ঠিকই খবর পেয়ে যায়।

 এই সমাবেশে JP Morgan, Rockefellers organization এবং Goldman sachs এর কান্ডারি’রাও ছিলো। সেইসাথে ছিল তাদের Godfather, Rothschild এই মিটিং, দুনিয়ার ভাগ্য বদলে দেয়। Federal Reserve Bank নামের শয়তানী concept এখানেই তুলে ধরা হয়।

হা, সেই Federal Reserve ব্যাংকের কথা বলছি যা এখন পুঁজিবাদী দুনিয়ার অর্থনীতি নিয়ন্ত্রন করে।

কিছুদিন আগে এটা নিয়ে লিখেছিলাম। 

https://www.facebook.com/mostwanted36/posts/10202657016616883

 

Federal Reserve is more of a system and Gateway for world domination”

এব্যাপারে বলে রাখি, it may sound amazing,

 প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্ল্যান করা হচ্ছিলো সেই ১৮৯০ সাল থেকেই   যুদ্ধে যাবার জন্য কেবল বড় ধরনের একখানা ইস্যুর দরকার ছিলো। ইস্যু তৈরি করা তেমন কঠিন ছিলো না। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলো যুদ্ধে আয়-ব্যয়, অর্থাৎ লাভ লোকসানের হিসাব।

 

there was no way to finance the war. After all, it would have taken absolute massive amount of money to run a full scale war for a long time.

সুতরাং ১৯১০ সালের মিটিং-এ তারা একটা way বের করল,

to create money out of thin air by introducing Federal Reserve Bank concept.

 

প্ল্যানটা ছিলো খোদ তাদের নিজেদের দেশ,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের কাছ থেকে ব্যাংকিং সিস্টেম’টা এক রকম চুরি করে নিজেদের কুক্ষিগত করা।

অর্থাৎ টাকা (Money) তৈরির একটা “new way” তারা introduce করবে, যা হবে বেসরকারি মালিকানায়।

 

After all, when you introduce a way of creating money into the systemwhich is not done by the government, rather it’s done by the private interest,then every currency, which come into circulation, has a portion of “interest” (সুদ) attached to it, which is owned to the bankers.

 

বাংলাদেশের পেক্ষাপটে চিন্তা করলে ব্যাপারটা অনেকটা এমন শোনাবে যে আপনি “বাংলাদেশ ব্যাংক” আগামীকাল সকালে কিনে নিলেন। 

  যা কিনা এদেশের central ব্যাংক 

অতঃপর আগামীকাল দুপুর থেকে আপনি বাংলাদেশের টাকা’র নোট (currency) বানানো শুরু করলেন, এজন্য নয় যে বাংলাদেশ সরকার আপনাকে টাকা বানাতে বলেছে বা আপনার কাছে টাকা চেয়েছে, বরং as a private organization, নিজের মনের মাধুরি মিশিয়ে, যা মন চায়, যত খুশি মনে চায়, টাকা আপনি বানাবেন, অতঃপর সরকার’কে লোন দেবেন 

    believe it or not    

(কারন এখন আর টাকার মালিক সরকার নয়, টাকার মালিক আপনি।অর্থাৎ বাংলাদেশে যত টাকার নোট আছে, সবগুলো আপনি own করেন, তাতে আপনার নাম লিখা থাকে)

যেখানেই লোন, সেখানেই interest (সুদ)

সরকার তখন প্রতিটি টাকার জন্য আপনাকে interest দিতে বাধ্য।

 ইয়েস, ঠিকই শুনেছেন।

 সরকারই আপনাকে সুদ সহ আসল ফিরিয়ে দিতে বাধ্য।   Believe it or not   

 

আমাদের ভাগ্য ভালো, বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো সরকারের হাতে আছে। কোনো মহান সন্ন্যাসী বা “দরবেশ বাবা” এখনো এটা’কে বগলদাবা করতে পারে নি। একারনে আমাদের সরকারের ঋণ কম।

ওদিকে JP Morgan-এর মত মানুষ’দের কল্যানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের central ব্যাংকতথা Federal reserve bank একটা বেসরকারি ব্যাংক। সেই ১৯১৩ সাল থেকে।   

 

যেসব Dollar নোট আপনি চোখের সামনে দ্যাখেন, সবই বেসরকারি।

 তার উপর লিখা Federal reserve, অর্থাৎ এটা Federal reserve এর সম্পত্তি, মার্কিন সরকার’কে এর জন্য interest দিতে হবে। 

after all, money = debt

 

মার্কিন সরকারের আকাশ সমান ঋণের মুল কারন আসলে এটিই। Inflation এর মুল কারনও আসলে এটাই।

 

তো, ১৯১০ সালেই Federal reserve করতে চেয়েছিলেন JP Morgan-এর মত স্বার্থবাদী ক্ষমতাধর লোকজন।কিন্তু তখন এটা সম্ভব হয় নি। না হবার মুল কারন- এর বিরোধীতাকারীরা।

ভাবছেন, বিরোধীতা করেছিলো আমজনতা??, যারা কিনা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

কিন্তু না।

পত্র পত্রিকা’তে খবরটি ছাপা হয়েছিলো। কিন্তু আমজনতা স্বাভাবিকভাবেই এসব কিছুই বোঝে না। 

আমজনতা রাজনীতি, সমাজনীতি, ধর্ম-কর্ম নিয়ে বিস্তর ফটর ফটর করতে পারে, কিন্তু অর্থনীতি বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এটা তারা কিছু বোঝে না, বুঝতেও চায় না, বুঝতে চেষ্টাও করে না।

উদাহরণ হিসেবে আমাদের দেশের রিসেন্ট শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির কথা চিন্তা করেন।

সবাই জানে, শেয়ার বাজারে বিশাল অন্যায় কিছু, খারাপ কিছু হয়েছে।

কিন্তু কী হয়েছে?? কিভাবে হয়েছে?? কেন হয়েছে?? কে করেছে?? এসব খুব কম মানুষ ভালোমত জানে বা বোঝে।

 

সাংবাদিকরা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদগনের কাছে মাইক্রোফোন ধরেন আর তারা অর্থনীতির বিবিধ জটিল টার্ম ইউজ করে ব্যাপারটি এনালাইসিস করেন। স্বাভাবিকভাবে অর্থনীতির ছাত্র ব্যাতিত আমজনতা তার কিছুই বোঝে না।

 

মার্কিন Ford car কোম্পানির মালিক,Henry Ford রসিকতা করে একটা কথা বলতেন,

“It is well enough that people do not understand our banking and money system.

Because if they did, I believe there would be a revolution before tomorrow morning” :’(

 

তো, ১৯১০ সালে Federal Reserve concept বিরোধীতা করেছিলো যারা, 

তারা হল John Jacob Astor ,Benjamin Guggenheim and Isador strauss

এরা তিনজন ছিলো সেই সময়ের top three richest people in the world

 

এরা তিনজনই ছিলেন industrialist, অর্থাৎ ব্যবসায়ী।

অনেকটা একালের বিল গেইটস বা স্টিভ জবসের মত।

 but not like, warren buffet, যারা টাকা দিয়ে টাকা বানান। অর্থাৎ finance related ধান্দা করে।

 

তো, এই তিনজন ধনী ব্যক্তি বিরোধীতা করেছিলোকারন যেকোনো ধরনের inflation তাদের production and market নির্ভর ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর।

after all,

ওই যে বললাম, এদের ব্যবসা ছিলো বিল গেইটসের মত।

 JP Morgan সাহেব’দের মত টাকা দিয়ে টাকা বানানোর ধান্দা এদের ছিলো না।

 

তো, ১৯১১ সালের ১৪ই জুন তিনটি জাহাজের প্রথমটি, অর্থাৎ Olympic যাত্রা শুরু করল।

প্রথম যাত্রা সুখকর ছিল না। 

একখানা বিশাল মার্কিন tug boat-কে ধাক্কা দিয়ে একরকম ডুবিয়ে দিয়েছিলো।

সেপ্টেম্বর মাসে Royal navy cruiser HMS Hawke-এর সাথে ভয়াবহ ধাক্কা খেলো।

বেশ ভালো রকমের damage হয়েছিলো অলিম্পিকের।

 



 

ব্রিটিশ Navy এই দুর্ঘটনার তদন্ত করে এবং অলিম্পিক জাহাজের ক্রু’দের দুর্ঘটনার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে। 

ফলসরুপ অলিম্পিক জাহাজের জন্য করা মিলিয়ন পাউন্ডের insurance বাতিল হয়ে যায়।

 

এ প্রসঙ্গে বলি, তিনটি জাহাজের প্রতিটিরই insurance করা ছিলো।

insurer ছিলো Lloyds bank of London

তো, ইনস্যুরেন্স ছাড়া যদি Olympic জাহাজ’টিকে মেরামত করতে হয়, তাহলে বেটা White star line একেবারে bankrupt হয়ে যাবে।

বিশাল অংকের টাকা তারা ইতিমধ্যে ব্যয় করেছে জাহাজ তৈরির কাজে। এক পয়সা লাভ না গুনেই বজ্জাৎ জাহাজ’খানা গেলো নষ্ট হয়ে।  

White Star line-এর মাথায় হাত :’( 

তাদের সামনে তখন দুটি option

হয় Olympic জাহাজটিকে scrap বানানো, অর্থাৎ ভেঙ্গে চুড়ে recycle অথবা patch-up করা।

অর্থাৎ জোড়াতালি মারা।

 

( কিন্তু patch up কাজ শেষ করতে ৭ সপ্তাহ লাগবে। এই লেভেলের জাহাজ এতোদিন out of duty থাকা মানেও বিশাল ক্ষতি।তার উপর patch up করাটাও যথেষ্ট ব্যয়বহুল হবে। after all, জনাব JP Morgan তার investment-এর খুব দ্রুত return চান)

 

এখন কী আর করা!!

 

নিরুপায় হয়ে patch up করা হলো Belfast-এ নিয়ে গিয়ে।

 সেই সাথে Titanic নির্মাণ কাজ দ্রুত কমপ্লিট করার দিকে নজর দিতে বলা হল।যাতে ১৯১২ সাল থেকে একসাথে দুটি জাহাজ সার্ভিস দিতে পারে। দ্রুত revenue তুলে আনতে পারে।

Believe it or not, 1912 সালের জানুয়ারি নাগাদ তড়িঘড়ি করে মেরামত কাজ শেষ হবার পর আবার একটা accident করে বসলো Olympic জাহাজ।

এবার তার একখানা propeller নষ্ট হয়ে গেলো।



 

ফলে আবার তাকে Belfast-এ পাঠানো হলো মেরামতের জন্য। 

এখানেই আবারও টাইটানিক আর অলিম্পিক জাহাজ দুটোকে একসাথে ফোটোগ্রাফ করা হয়।

টাইটানিক জাহাজের নির্মাণ কাজ তখন প্রায় শেষ। (চিত্র-৬)



 

সম্ভবত এখানেই দুটো জাহাজ’কে switch করা হয়। 

অন্তত conspiracy বিশেষজ্ঞরা তেমনটি মনে করে। কিছু প্রমান না হয় আপনিই দেখুন। যেমন-

অলিম্পিক জাহাজের সম্মুখভাগের C deck-এ ১৬ টা bow porthole ছিলো, আর টাইটানিকের ছিলো ১৪ টা (according to Harland & Wolff records ) 

 


 



মজার ব্যাপার হলো, Titanic জাহাজের maiden voyage-এর যতগুলো ফটো তুলেছিলেন সেই সময়ের সাংবাদিকরা,

সবগুলোতে দেখা যায়, টাইটানিক জাহাজের porthole আছে ১৬টি     ( কীভাবে সম্ভব?? )

 

(চিত্র-৯) পেছনের অংশের E deck টি Olympic এর open type আর টাইটানিকের enclosed type



এছাড়া জানালার বিন্যাসগুলো কিছুটা ভিন্ন। এক জানলার সাথে পাশের জানলার spacing টা অলিম্পিকে ইউনিফর্ম।



 

সেই হিসেবে, Titanic জাহাজের maiden voyage-এর সবগুলো তোলা ছবি দেখলে যে কেউ বুঝবে, এটা অলিম্পিক জাহাজ।

ওই যে বলেছিলাম, অলিম্পিক জাহাজের তিনটি propeller-এর মধ্যে একখানা নষ্ট হয়ে গেছিলো, according to H&W archive, ওটা রিপ্লেস করা হয়েছিলো marked 401 number Propeller দিয়ে।

H&W কোম্পানির সবগুলো propeller-কে এভাবেই marking করা হত।

 

মজার ব্যাপার হল, সমুদ্রের তলে টাইটানিক জাহাজের যে ধ্বংসস্তুপ আছে, তার তিনটি propeller-এর মধ্যে একটিতে স্পষ্ট marking করা, 401





 

অলিম্পিক জাহাজটি accident করার কারনে তার সম্মুখভাগের নিচের অংশে permanent scratch পড়েছিলো।

 

মজার ব্যাপার হলো, টাইটানিকের maiden voyage-এর যে ছবিটা সারাদুনিয়ার পত্রপত্রিকাতে তখন ছাপানো হয়, সবগুলোতেই নিচের দিকে একই রকমের scratch দেখা যায়।    

কিন্তু টাইটাইটানিকে তো scratch থাকার কথা না। হাজার হোক, এটা তার maiden voyage   !!! 

 

এছাড়া আরো অনেক অনেক অসামঞ্জস্যতা আছে।

 

১৯৮৬ সালে Robert Ballard নামের এক মার্কিন নেভি অফিসার সাগরের তলদেশে Titanic জাহাজের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন।

এর পর থেকেই এসব নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু হয়।

 

আগেই বলেছিলাম, অলিম্পিক জাহাজ accident করার পর তাতে জোড়াতালি দেয়া হয়েছিলো।

patch up করা হয়েছিলো মুলত নিচের অংশের ভেতরের দিক থেকে।

যাতে বাইরে থেকে দেখতে খারাপ না লাগে, বোঝা না যায়।

 টাইটানিকের জাহাজের ধ্বংসাবশেষের পর্যবেক্ষণ করে তার নিচের দিকের অংশে জোড়াতালি বা ঝালাই পেটাই করার আলামত দেখা যায়। এগুলো মুলত ছিলো evidence. 

 

এবার আবার facts-এ ফেরা যাক।

১০ই এপ্রিল টাইটানিকের maiden voyage JP Morgan এবং White star line সারা দুনিয়াতে, বিশেষ করে ইউরোপে, টাইটানিক জাহাজের maiden voyage-এর publicity করে।

(চিত্র -14 এ দেখছেন Titanic জাহাজের পোস্টার)





 

পোস্টারে যা লিখা, তার সোজা বাংলা হল, দুনিয়ার সবচেয়ে বড় জাহাজ এটি। উঠতে চাইলে টিকিট কাটুন।    

কী?? খটকা লাগছে??

একবছর আগে তো অলিম্পিক জাহাজ যাত্রা করেছে। সেই সময় তো এতো publicity হয় নি।

অলিম্পিকে যারা উঠেছিলো, তারা তো টেরও পায় নি, এটা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় জাহাজ!! 

তাহলে টাইটানিকের বেলায় এতো ঢাক-ঢোল পেটানো হল কেন??

 

এখানে একটা ব্যাপার সবাইকে খেয়াল রাখতে বলি।

তখন ১৯১২ সাল। সুতরাং সেই সময়ের প্রচারমাধ্যম, সাংবাদিকতা, সর্বোপরি ক্যামেরার বিষয়টি মাথায় নিয়ে ব্যাপারগুলো চিন্তা করবেন। সে সময় নিশ্চয় investigation journalism ব্যাপারটা একালের মত ছিলো না। আমজনতা দুনিয়ার ব্যাপারস্যাপার খুব কমই জানতো।

 

যে টাইটানিকের maiden voyage হবার কথা ২১শে মার্চ, সেটা suddenly পেছানো হল কেন?? পিছিয়ে ১০ই এপ্রিল কেন করা হল??

এখানেই ঘাপলা।

এসময় জনাব JP Morgan ছিলেন ইউরোপ ট্যুরে।

তিনি কোনোএক অজুহাতে John Jacob Astor ,Benjamin Guggenheim and Isador strauss-কে রাজি করিয়েছিলেন, তার সাথেই টাইটানিকের টিকিট কাটতে।

 তারা তিনজন তখন মনের আনন্দেই টিকিট কেটেছিলেন। 

হাজার হোক, এটা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় জাহাজ। সেই সাথে খুব specific করে বলা হচ্ছে, এটা নাকি unsinkable (ঘাপলাটা খেয়াল করেন)সেই সাথে খোদ JP Morgan নিজেও যাচ্ছেন তাদের সাথে।

 

তো, ১৯১২ সালেই ১০ই এপ্রিল দুনিয়ার এই শীর্ষ তিন ধনী টাইটানিক জাহাজে আরোহন করেন।

মজার ব্যাপার হলো, জনাব JP Morgan সাহেব সেদিন অসুস্থ অনুভব করেন।

 তিনি একেবারে শেষ মুহূর্তে যাত্রা বাতিল করেন।

অথচ তিনি যাবেন বলেই ওই তিনজন টিকিট কেটেছিল। 

শুধু JP Morgan একা নয়, তার JP Morgan কোম্পানির সব কর্মকর্তারা সেদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন     প্রায় ৫০ জন শেষ মুহূর্তে যাত্রা বাতিল করে। এটা মনে হয় দুনিয়ার সবচেয়ে lame coincidence   

 

একবার লক্ষ করুণ, ব্যাপক publicity করার কারনে অনেক মানুষ টিকিট কিনেছে।

 বিশেষ করে second and third class টিকিট সস্তা এবং পরিমানে বেশি হবার কারনে অনেক আমজনতা টিকিট কেটেছে।যাদের অধিকাংশ একেবারে গরীব। সেই সাথে জাহাজের আছে Federal reserve bank বিরোধী শীর্ষ তিন ধনী।

সুতরাং জাহাজটি ডুবলে মনে হয় না কেউ তেমন একটা সন্দেহ করবে। প্রশ্ন তুলবে।

 

ওদিকে টাইটানিক জাহাজের ক্যাপ্টেন করা হয়েছে Edward J Smith- কে। 

 

Believe it or not, তিনি ছিলেন অলিম্পিক জাহাজের ক্যাপ্টেন   !!  

অলিম্পিক জাহাজের তিনটি দুর্ঘটনার জন্যই এই মহামানব’কে দায়ী করা হয়েছিলো। খোদ ব্রিটিশ নেভী ভদ্রলোকের ক্যাপ্টেনগিরি করার যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলো। এমন একজন লোক’কে ক্যাপ্টেন বানিয়ে সেই জাহাজের JP Morgan নিজে উঠবেন, এতো পাগল, মনে হয় সে না 

  ( ওই জন্যেই মনে হয় ১০ই এপ্রিল বেটা অসুস্থ ছিলো। পেট খারাপ করেছিলো তার   )

 

ওদিকে, টাইটানিকের chief officer, Henry Wilde জাহাজ ছাড়ার ঠিক আগে তার বোন’কে চিঠিতে লিখেছিলেন, “I still don’t like this ship”

কথার টোণ খেয়াল করুণ।

“I still…. “ (এটা না টাইটানিকের maiden voyage?? )

 

Henry Wilde-এর বোন ছিলেন আগের বছরের Olympic জাহাজের maiden voyage-এর first class passenger

(এবার মিলিয়ে নিন)

আরো একটা ব্যাপার অবাক করার মত, without publicity, অলিম্পিক জাহাজের প্রথম যাত্রায় তা ছিলো ভর্তি। 

অথচ এতো প্রচারের পরও টাইটানিক জাহাজ ছিলো half full

 

সব Second and third class টিকিট বিক্রি করা হলেও বিলাসবহুল জাহাজের সবচেয়ে লাভজনক First class সীটের টিকিট বিক্রি করা হয়েছিলো মাত্র অল্পকিছু।

আর অল্পকিছু first class টিকিট JP Morgan সাহেব বেছে বেছে কিছু elite মানুষের কাছে বিক্রি করেছিলেন।

 কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো,কাগজ-কলম নিয়ে হিসাব করলে দেখা যায়, এসব ২০-২৫ জন elite যাত্রীর যে কেউ মরলেই JP Morgan সাহেবের কোনো না কোনো দিক দিয়ে লাভ হয়।  

যাই হোক, অর্ধেকেরও বেশি first class সীট খালি ছিলো। আর JP Morgan সাহেব’কে তার বৌ’য়ের সাথে সেদিন France –এর সবচেয়ে বড় জুয়েলারি দোকানে কেনাকাটা করতে দেখা যায়।

( it is documented, by the way) (কিন্তু তিনি না অসুস্থ??   :o)

 

এবার আসি, সেই বিখ্যাত আইসবার্গের সাথে ধাক্কাধাক্কীর প্রসঙ্গে।

 (চিত্র -১৫, এটিই সেই বিখ্যাত আইসবার্গ)




ধরুন, ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম যাবার পথে আপনার GREENLINE bus খারাপ হয়ে গেলো।এবার আপনি কী করবেন?? 

সব যাত্রীর সাথে রাস্তায় নেমে, আসতে থাকা নেস্ট GREENLINE bus থামাবেন। তাই না??

 

সাগরেও ঠিক এমনটি হয়।

কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে জাহাজ রুটের নিকটবর্তী জাহাজে Morse code দিয়ে signal পাঠানো হয়।

তো, টাইটানিক ছাড়ার ঠিক ৫ দিন আগে, অর্থাৎ ৫ই এপ্রিল SS Californian নামের মাঝারি একখানা জাহাজ একই রুটে যাত্রা শুরু করে।

 

মজার ব্যাপারটি হলো, তাতে কোনো যাত্রী ছিলো না,কার্গো ছিলো না।কিছুই ছিলো না। 

ফাকা জাহাজ ফাউ ফাউ বিলেত থেকে আমেরিকা যাচ্ছিলো।    

  Sorry, sorry   জাহাজটি আসলে একেবারে খালি ছিলো না।… … 

SS Californian-তে অল্প কিছু মালামাল নেয়া হয়েছিলো। তা হল, তিন হাজার sweaters এবং তিন হাজার blankets  ( হা হা হা )  

( আম্রিকা’তে ব্রিটিশ’দের কোনো গরম কাপড়ের ব্যবসা আছে বলে মনে হয় না

তাহলে এগুলো কী জন্য?? কার জন্য?? কীসের জন্য?? )

 

নাকি তারা আগে থেকেই জানে, টাইটানিক নামক বিশাল একখানা জাহাজ আইসবার্গে গুতা খেয়ে ডুবে যাবে, আর তাতে আরোহী মানুষদের বাঁচাতে SS Californian-কে ছুটে যেতে হবে!! 

সুতরাং, এসব মানুষের জন্যে আগে থেকেই sweater, blanket নিয়ে যেতে হচ্ছে :P

এবার কিছু অদ্ভুত কাহিনী শুনুন। এগুলো সবই documented 

 

১০ই এপ্রিল যাত্রা শুরু করে 14th April, 1912, রাতে টাইটানিক ডুবে যায়।

ওদিকে ১২ই এপ্রিল থেকেই SS Californian অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের একবিশাল Ice field-এর সামনে আটকে আছে।সামনে শুধুই ice berg, সামনে যাবার কোনো উপায় নেই।

SS Californian জাহাজের ক্যাপ্টেন Stanley Lord জাহাজটিকে stand by করে রেখেছেন।

 

এখন নিয়ম হল, Captain lord তার নিকটবর্তী, এমনকী দূরবর্তী যত জাহাজ আছে, সবগুলোকে এই রুট avoid করে চলার আগাম বার্তা পাঠাবেন।

তিনি তা পাঠিয়েছিলেন।১৩ থেকে ১৪ই এপ্রিল, এই দুদিনে মোট ৬ খানা public এবং তিনখানা private বার্তা আদান প্রদান হয় Captain lord ও টাইটানিকের ক্যাপ্টেন Edward Smith এর মাঝে।

 (চিত্র-১৬ তে দেখছেন, exact যে স্থানে টাইটানিক ডুবে গেছিলো)



 

শুনলে অবাক হবেন, টাইটানিক জাহাজ যদি নিয়ম অনুসারে White star line কোম্পানির জন্য নির্দিষ্ট জাহাজ রুট ব্যবহার করতো, তাহলে আইসবার্গের সাথে ধাক্কা খাবার কোনো সুযোগই ছিলো না !! 

 

অথচ কোনো এক অজানা কারনে 13th April Captain smith টাইটানিক জাহাজের রুট পরিবর্তন করেন। মাত্র ১৬০ কিমি এগোতেই সোজা গিয়ে ধাক্কা খান আইসবার্গের সাথে !! 

আর তার মাত্র ১৫ কিমি দূরে দাড়িয়ে ছিলো SS Californian 

( মজার ব্যাপার হলো, SS Californian কিন্তু White star line কোম্পানির জাহাজ নয়।)

 

ব্যাপারটা এমন যে, আপনার একবন্ধু ফোন দিয়ে বলল, মতিঝিল এলাকায় পিকেটাররা পেট্রোল বোমা ছুড়ছে। গাড়ি ভাংচুর করছে। এই শুনে, দ্রুত আপনি সদ্য কেনা BMW গাড়ি নিয়ে মতিঝিল চলে গেলেন!! :v কী?? যাবেন না?? 

 

Captain Smith ঠিক তেমন কাজই করেছিলেন।

 

১৪ই এপ্রিল রাত ১১টা ৪২ মিনিটে টাইটানিক আইসবার্গের সাথে ধাক্কা খায়।

ধাক্কা খাওয়ার সাথে সাথেই আকাশে বিশেষ আতশবাজি ফুটিয়ে,সিগ্নাল দিয়ে,Morse code দিয়ে সংকেত পাঠিয়ে আশেপাশের জাহাজ’কে দুর্ঘটনার কথা জানান দেয়।

SS Californian জাহাজের Captain lord এসময় full dress up অবস্থায় সোফার উপর শুয়ে ছিলেন। 

তার ক্রু’রা বিপদ সংকেত (আতশবাজি) দেখে ক্যাপ্টেন lord-কে বললে, তিনি আমলেই নেন নি।

তিনি ভেবেছিলেন, এগুলো জেলে’দের ছোড়া আতশবাজী। শীল মাছ শিকারের জন্য জেলেরা আকাশে সাদা আতশবাজি ফোটায়।

এতে বরফের উপর বসে থাকা শীল মাছগুলো identify করা যায়।

 

(ক্যাপ্টেন lord এতটা নিশ্চিত কিভাবে হলেন?? অনেক conspiracy বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ওইদিন আসলে ক্যাপ্টেন লর্ড বসে ছিলেন কখন তার কাছে টাইটানিক আসবে।

এরপর সাথে থাকা জার্মান U-boat দিয়ে টর্পেডো মেরে জাহাজটিকে ডোবানো হবে। অতঃপর আমজনতাকে উদ্ধার করা হবে, কিন্তু ওই দিন ধনুকুব’কে must মারতে হবে। জাহাজখানা ডুবে যাবে। সেই সাথে তিনজন ধনুকুব ও আরো কিছু Elite মানুষজন।এই ছিল হিসাব-নিকাশ। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে, তার আগেই কাকতালীয়ভাবে টাইটানিক’কে উপর ওয়ালা নিজেই ডুবিয়ে দেন )

 

এ প্রসঙ্গে বলি, জার্মান সরকারে সাথে JP Morgan সাহেবের অনেক ভালো সম্পর্ক ছিলো।

তো, আইসবার্গের সাথে ধাক্কা লাগার ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট পর বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজ ডুবে যায়।

SS Californian যদি খবর পাওয়া মাত্র উদ্ধার কাজে আসতো, তাহলে একটা মানুষও মরতো না। মাত্র ২০ মিনিট সময় লাগতো তার accident spot-এ আসতে।

অথচ কোনো এক অজানা কারনে, Engine চালূ অবস্থায় SS Californian দাড়িয়ে ছিলো।

 

টাইটানিক ডোবার এক ঘণ্টা চল্লিশ মিনিট পর, ভোর চারটার দিকে RMS Carpathia নামের অন্য একটি জাহাজ এসে life boat-এ ওঠার কারনে বেঁচে যাওয়া সৌভাগ্যবান মানুষগুলোকে উদ্ধার করে।

এসব মানুষরা আমেরিকা যায়। সারা দুনিয়ার পত্রপত্রিকাতে টাইটানিক ডোবার কথা প্রচার হয়।মার্কিন ও ব্রিটিশ সরকার তদন্তে নামে।জীবিত সবার বক্তব্য নেয়া হয়।

সেই সাথে White Star line-এর কর্মকর্তা ও ম্যানেজমেন্টের লোকেদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়।

 

British Enquiry team-এর সাথে White star line-এর director, Harold Sanderson ভুল বসত বারবার টাইটানিকের জায়গায় “অলিম্পিক” বলে ফেলছিলেন।তার উকিল আবার তাকে সংশোধন করে দিচ্ছিলেন, পাশে বসে বসে।

 documented 12 বার তিনি এই ভুল করেন। কিছুটা আজব, বিশেষ করে এতো বড় কোম্পানির director বলে কথা।

তো তদন্তকাল প্রথমদিকে public থাকলেও কোনো এক অজানা কারনে তার ভেতর secrecy ভাব চলে আসে। বিশেষ করে, বেঁচে যাওয়া সব মানুষদের’কে নতুন কাজের বিনিময়ে official secrecy act সাইন করানো হয়। 

 

 

বেঁচে যাওয়া ক্রু’দের দূর দূরান্তে বদলি করে দেয়া হয়।

যাই হোক, ব্যাপারটা একসময় পলিটিকাল হয়ে যায়। 

ব্রিটিশ সরকার দেখলো, white star line যদি দেউলিয়া হয়ে যায়, তাহলে H&W ও একই সাথে দেউলিয়া হয়ে যাবে।

 ৫০ হাজার মানুষ বেকার হয়ে যাবে।

 আর তখন চলে election campaign, তো both British and American সরকার JP Morgan সাহেবের পক্ষ নিলো। 

WSL-এর পক্ষ নিলো। 

যে করেই হোক, কোম্পানিটাকে বাচাতে হবে। যেহেতু টাইটানিক জাহাজটি ডুবেছে আর সেটার insurance অক্ষত ছিলো,সেহেতু British সরকারের নমনীয়তার কারনে insurance কোম্পানি অতিদ্রুত ইনস্যুরেন্সের টাকা দিয়ে দিলো।

 

এবার খেয়াল করুণ, accident-এর কারনে আগের বছর অলিম্পিক জাহাজের ইনস্যুরেন্স বাতিল হয়ে গিয়েছিলো।

 কিন্তু টাইটানিক জাহাজের সেই আমলের 1.8 million ডলারের ইনস্যুরেন্স অক্ষত ছিল।

interesting বিষয় হল,  maiden voyage এর ঠিক ১০ দিন আগে JP Morgan সাহেব টাইটানিকের ইনস্যুরেন্সের টাকার অংক বাড়িয়ে 3.2 million ডলার করে নেন।

 

এজন্যেই বলা হয়, JP Morgan এক ঢিলে দশ পাখি মেরেছিলেন। 

Federal reserve bank বিরোধীরা সবাই এখন পানির তলে। ১৯১৩ সালে Federal reserve bank গঠিত হল। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হল একেবারে ফালতু থেকে ফালতুতম এক অজুহাত দিয়ে।

White Star line ইনস্যুরেন্সের টাকায় আবার নব জীবন ফিরে পেলো। তাদের অন্য জাহাজ, সেটা টাইটানিক হোক বা Olympic হোক, নাম একটা হলেই হল, আরাম’ছে সার্ভিস দিয়ে গেলো।revenue দিয়ে গেলো আর কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া, 1935 সাল পর্যন্ত !!! 

 

শেষ একটা চমকপ্রদ তথ্য শেয়ার করি।

 শুরুতেই বলেছিলাম, ১৯০৩ সালে JP Morgan সাহেব white star line কিনেছিলেন।

টাইটানিক বা অলিম্পিকের মত জাহাজ তৈরির আইডিয়া তার মাথায় এমনি এমনি আসে নি।তার প্রিয় লেখক ছিলেন, Morgan Robertson (1861 –1915)

১৮৯৮ সালে তার একটি বই publish হয়। The wreck of Titan

সেখানে Titan নামের এক কাল্পনিক জাহাজের কাহিনী ছিলো।যা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় জাহাজ। এবং অ্যাটলান্টিকে আইসবার্গের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। 

(believe it or not) বইটির মলাট দেখুন চিত্র-১৭ তে)

 



 

Titan নামক সেই কাল্পনিক জাহাজের কাহিনী জনাব JP Morgan সামহাউ বাস্তবে orchestrate করতে সফল হয়েছিলেন !! 

( ব্যাপারটা খেয়াল করুণ। বইটি লিখা হয়েছিলো সেই ১৮৯৮ সালে )

 

Morgan Robertson নামের এই মার্কিন লেখক শুধু একটি নয়, আরো বেশ কিছু সিরিজ উপন্যাস লিখেছিলেন, বিশাল জাহাজডুবির কাহিনী নির্ভর।

আরো একটা মজার ব্যাপার হলো, 

এ যুগের মানুষ, অর্থাৎ আমাদের টাইটানিক জাহাজ related ধারনাগুলো তৈরি হয়েছে James Cameron-এর ব্লকবাস্টার হিট ছবি ‘Titanic” দিয়ে। তেমনি জেমস ক্যামেরোন’দের যুগের মানুষের ধারনা তৈরি হয়েছিলো একটা বই পড়ে।

 documentary টাইপের বইটির নাম ‘A night to remember” লিখেছিলেন Walter lord

Walter lord সাহেব একজন ex-CIA agent.তাকে অনেকে CIA paid রাইটার হিসেবে অপবাদ দিয়ে থাকেন।

 

যাই হোক, এতো বড় লিখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।আপনি জানলেন, আপনার বন্ধুরও জানার অধিকার আছে।

আমার কাছে টাইটানিক ডুবলো, নাকী অলিম্পিক ডুবলো,এটা কোনো বিবেচ্য বিষয় ছিলো না।

আপনি যখন GREENLINE bus অথবা emirates airline এর টিকিট কাটেন,তখন স্বাভাবিকভাবেই কত নম্বর প্লেটওয়ালা বাস এসব নিশ্চয় খেয়াল করেন না। কারন Greenline এর সব Bus তো একই সাইজের। 

 

টাইটানিক আর অলিম্পিক হুবহু একই জিনিস। নাম মুছে যেটা লিখবেন, সেটাই হয়ে যাবে।

 

কিন্তু ব্যাপারটা relevant হয়ে দাড়ায় তখন, যখন দেখি এর সাথে এতো কিছু, এতো ফাউল প্লে জড়িয়ে আছে। তখন মনে হয়, টাইটানিক আর অলিম্পিক অনেক আলাদা জিনিস।

দিনশেষে একটা জাহাজ ডুবেছে, এটাই সত্য। সেটা white star line এর একই রকম সাইজের টুইন জাহাজের যেটাই হোক। কিন্তু এতো সাধারন মানুষ মারা গেছে, এটাই আসল বিষয়।

জন এস্টারদের মত বড় লোকের লাশ কিন্তু ঠিকই খুজে বের করে প্রপার ফিউনারেল দেয়া হয়েছিলো। 



 

কিন্তু সাধারণ মানুষের এতো ভাগ্য হয় নি। তারা হারিয়ে গেছে শীতল অ্যাটলান্টিকে গভীরে। 

মুভি’তে ঠিক যেমনভাবে দেখিয়েছে। হয়ত কোনো মা তার বাচ্চা’কে বুকে জড়িয়ে গল্প করতে করতেই পানির তলে চলে গেছে।

এই ব্যাপারগুলোই আসল। এগুলোই কষ্টের। এগুলোই সেদিন অ্যাটলান্টিকে গর্ভে হারিয়ে গেছে।

 

 

(*** লেখাটি আমি প্রথম পোস্ট আকারে লিখি এবছরের ৩রা জানুয়ারিতে। ) সুবিধার জন্য আজ note আকারে দিলাম ) 

https://www.facebook.com/mostwanted36/posts/10202804429142104


**** প্রথম পোস্টটি লিখেছিলাম ২০১৩ সালে। আমার ফেসবুকে। সে বহুদিন আগের কথা।  

No comments:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.