Saturday, January 23, 2021

পরীক্ষায় নকল করা কাহাকে বলে? কত প্রকার, কি কি?

 পরীক্ষায় নকল করা কাহাকে বলে? কত প্রকার, কি কি? চাইনিজ স্টুডেন্টরা প্রতিবছর National College Entrance Examination দেবার সময় সেটা দেখিয়ে দেয় :P

এই বছর ২৪৪০ জন পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। কিন্তু তাদের নকল করার gadgets গুলো চীনের গোয়েন্দা বাহিনীকেও অবাক করে দিতে বাধ্য । যেমন নিচের ছবি’তে যেগুলো দেখছেন, এগুলো wireless hidden earpiece

কানের ভেতর দিলে বাইরে থেকে কেউ বুঝতেও পারবে না।



প্রায় চল্লিশজন বহিস্কার হয়েছে এই ডিজাইস ব্যবহার করার কারণে। 



এরা পরীক্ষার কেন্দ্রে এসে মোবাইল ঠিকই জমা দেয়। কিন্তু মোবাইল আসলে ভেতরে ভেতরে অন করা থাকে। এবং মোবাইলের সাথে কানের এই ইয়ারপিসের যোগাযোগ থাকে।

 

এই ছবি’তে দেখতেছেন শার্টের নিচে গেঞ্জির ভেতরে লুকানো স্পেশাল ডিভাইস।

It includes a wireless hidden earpiece, copper antenna to beam images, batteries to power the system, and a cheap mobile connected to the earpiece to get answers back.



একশো জনের বেশি বহিস্কার হয়েছে এই কারণে।

 

বাইরের থাকা নকলে সাহায্যকারী ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ ভালো মত মেইন্টেইন করার জন্য স্পেশাল ড্রোনও বানিয়ে এনেছে তারা। :P



 

নিচের ছবি'তে দেখছেন, পরীক্ষা কেন্দ্রর বাইরে থাকা  নিরাপত্তাকর্মী। নকল বন্ধ করতে তিনি রেডিও সিগন্যাল আছে কিনা চেক করতেছেন। হা হা হা ...





 

এই ছবি’তে দেখতেছেন লিখার কলমের ভেতর লুকানো স্পেশাল ক্যামেরা।

প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে পাঠিয়ে দেবে বাইরের সাহায্যকারীকে।



 

এই পুলিশ অফিসারের কাছে যে চশমাটা দেখতেছেন, তার ভেতরে ইঞ্জিনিয়ারিং করে একটা হিডেন ক্যামেরা বসিয়েছিলো এই ছাত্র। আর যে পয়সাটা দেখতেছেন, সেটা একটা রিসিভার।



 

এটাও নকল করার কলম। যাতে ক্যামেরা আছে। আবার ইরেজারের মত দেখতে রিসিভারও আছে।


 


 

এটা আরো একটা ড্রোন। নকল করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।


 


পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে পুলিশ নকল সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কিছু যন্ত্রপাতি  সিজ করেছে :P


 


 

এই ঘড়ি দিয়ে যেমন ছবি তুলে বাইরে পাঠানো যায়, আবার বাইরে থেকে এতে উত্তর পাওয়া যায়।



 

এটা আরো একটা ডিভাইস। একধরনের কালি দিয়ে হাতে নকল লিখে আনে। সাথে যে কলম এনেছে, তার সাথে আলট্রাভায়োলেট লাইট আছে। এই লাইট মারলে হাতে লিখা নকল ভিজিবল হয়ে ওঠে।




মেয়েদের জন্য নকল করা কিছুটা হলেও ইজি। :P



১৩৫ কোটি মানুষের দেশে কলেজে ভর্তি পরীক্ষার জন্য একটাই পরীক্ষা হয়। বিশাল আয়োজন থাকে।



 

পরীক্ষার হলে রীতিমত চেক করে করেই পরীক্ষার্থী ঢোকানো হয়। কিন্তু তারা অনেক স্মার্ট। নকল ঠিকই আনে যার আনার ইচ্ছা থাকে।



 

ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিলে মা বাবা পরীক্ষার হলের বাইরে নানান ধর্মীয় আচার শুরু করে। বাচ্চার পরীক্ষা যাতে ভালো হয়, সেই জন্য।



 

পরীক্ষার হলে অস্ত্রধারী পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে সবসময়।



 

কিন্তু নকল কি আর থেমে থাকে ? 

 


চীন থেকে প্রতিবছর প্রচুর ব্রেন ড্রেইন হয়। মার্কিন মুল্লুকের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চাইনিজের পরিমাণ দিনদিন বাড়তেছে।

 



নকল করে যারা বহিস্কার হয়েছে, তারা কাজটি অন্যায় করলেও একটা কথা ঠিক। তাদের ট্যালেন্টের অভাব নেই। :P  হা হা হা ...

No comments:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.