Acer..... Apacer..... HTC.....
.....Asus...... BenQ.....Cyberlink....
Foxconn....Gigabyte...............Realtek...
.........Transcend......liteOn....China Steel...
....ADATA.....SilverStone......
Thermaltake (কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাই বানায়)
...Biostar......chinaTech...
এসব ব্রান্ডের সাথে পরিচিত হবার কথা। অধিকাংশ কম্পিউটারের পার্টস প্রস্তুত করে। ইলেকট্রনিক্স বিজনেসওয়ার্ল্ডের নামকরা নাম...
এগুলো কোন দেশের কোম্পানি জানেন??
জানা কথা। Republic of China
শুধু, সেটাই না... Republic of China বংশোদ্ভূত মানুষদের হাতে গড়া আরো কিছু কোম্পানি জগৎবিখ্যাত।
NVIDIA
Trend Micro
Yahoo !
এবং Youtube এর কো ফাউন্ডাররা Republic of China বংশোদ্ভূত।
কাহিনী হইলো Republic of China এর সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই
বাংলাদেশ Republic of China কে স্বীকৃতি দেয় নি।
এমনকি বাংলাদেশের সাথে Republic of China এর কোনো ডিপ্লোম্যাটিক সম্পর্ক নাই।
থাকবে কিভাবে ??
রিপাবলিক অফ চীন'কে দুনিয়ার বড়বড় কোনো দেশই স্বীকৃত দেয় না ।
মাত্র ২১ টা দেশ স্বীকৃতদেয়। যাদের ভেতর সবচেয়ে পাওয়ারফুল দেশ হল পানামা আর প্যারাগুয়ে
আর বাকিসবগুলো দেশের নাম বললে চিনবেন না
একারণে কষ্ট করে লিখলাম না
আপনি বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে রিপাবলিক অফ চীনে যেতে পারবেন না।
যদিও তাদের দেশের পন্য ছাড়া আমাদের চলেও না। (ভিন্নদেশ ভায়া হয়ে যেতে পারবেন। সেটা ভিন্ন ব্যাপার)
দেশটি People Republic of China নয়।
Republic of China.
যাকে আমরা তাইওয়ান বলে জানি।
৩৬ হাজার বর্গ কিলোমিটারের দেশটিতে জনসংখ্যা ২ কোটি ৩৩ লাখ।
দুনিয়ার উন্নত দেশগুলোর একটি
দুনিয়ার ২১ তম বৃহৎ অর্থনীতি।
মাথাপিছু আয় ৪৩ হাজার মার্কিন ডলার। (১৭তম )
তাইওয়ানের সাথে চীনের সম্পর্ক সাপে নেউলে...
চীন স্বপ্ন দ্যাখে, তাইওয়ান'কে দখল করে মুলভুমির কমিউনিস্ট পার্টির শাসনে আনার।
আর তাইওয়ানি স্বপ্ন দ্যাখে, চীনের ভাইব্রাদার'দের কমিউনিস্ট পার্টির হাত থেকে মুক্ত করে চীনকে স্বাধীন করার
চীনের আছে দুনিয়ার সবচেয়ে 'সাইজে বড় আর্মি"
আর তাইওয়ানের আছে ওই রিজিওনের সবচেয়ে "সফিস্টিকেটেড" আর্মি।
সেইসাথে তাইওয়ানের সাথে আছে আমেরিকা।
প্রেসিডেন্ট বুশ অঙ্গীকার করেছিলো যদি চীন কখনো তাইওয়ান আক্রমন করে, তাহলে আমেরিকা যেকোনোকিছুর বিনিময়ে তাইওয়ানকে, অর্থাৎ Republic of china কে রক্ষা করবে
ব্যাপারটা সেই ডিকটেটর মুভির মত হয়ে গেলো...
হয় এই aladeen এর পক্ষে,
না হয় এই aladeen এর পক্ষে
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চীনে শুরু হয় কমিউনিস্ট vs Nationalist গৃহযুদ্ধ।
তাতে সোভিয়েত ব্যাকড কমিউনিস্টরা জিতে যায়।
মাও সে তুং ক্ষমতায় আসে।
আর ন্যাশোন্যালিস্টরা জীবন বাঁচাতে চলে যায় সাগরে ১৮০ কিমি দুরের ফরমোসা দ্বীপে। অর্থাৎ তাইওয়ানে।
সেখানে তারা নিজেদের ন্যাশনালিস্ট সরকারের অবশিষ্ট অংশ টিকিয়ে রাখে।
এবং আজ পর্যন্ত মুলভুমি চীন দখলের স্বপ্ন দ্যাখে।
তাদের ভাষায়, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির হাত থেকে চীনের ভাইব্রাদারদের উদ্ধার করা তাদের লক্ষ্য।
ইন্টারেস্টিং বিষয় হল, ১৯৭১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘে তাইওয়ানের অর্থাৎ Republic of China (Taiwan) এর সদস্যপদ ছিলো। বিশ্বশক্তিগুলো তখন তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দিতো।
কিন্তু PRC (China) ছিলো আমেরিকার জন্য এক নিষিদ্ধ দেশ। চীনের সাথে ১৯৭১ সালের আগ পর্যন্ত আমেরিকার কোনো ডিপলোম্যাটিক সম্পর্ক ছিলো না।
সম্পর্ক করে দিয়েছিলো কে ??
পাকিস্তান। কুটনামো ভন্ডামো আর শয়তানিতে যাদের পিএইচডি আছে
দশ বছর ধরে পাকিস্তানের চেষ্টায় আমেরিকা আর চীনের ভেতর সম্পর্ক তৈরি হয়। ইনফ্যাক্ট হেনরি কিসিঞ্জারকে লুকিয়ে, গোপনে ইয়াহিয়া খান নিজেস্ব প্লেনের ভেতর করে চীনে নিয়ে গিয়েছিলো
দুনিয়া জানতো, কিসিঞ্জার পাকিস্তানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে গেছেন !
যাই হোক, সেসব অন্য ইতিহাস।
ভিন্ন কোনোদিন লিখবো।
তো চীনের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক হয়।
ফলাফল, ১৯৭১ সালের ২৫ অক্টোবর জাতিসংঘ থেকে ROC আউট, আর RPC ইন
অর্থাৎ আলাদিন আউট, তার বদলে আলাদিন ইন
তখন অন্যান্য বড়বড় দেশগুলোও পাইকারি হারে 'আলাদিন ইন, আরেক আলাদিন আউট" করা শুরু করে।
সেই ১৯৭১ সাল থেকে তাইওয়ান আর জাতিসংঘে নেই।
মজার ব্যাপার হল, আমেরিকা এখন চীনের সবচেয়ে বড় বিজনেস পার্টনার হয়ে গেছে।
চীনও আমেরিকার সাথে ব্যবসা করে অনেক ধনী হয়েছে। একটা ধনী উন্নয়নশীল দেশ চীন।
তবে দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি গরিব মানুষও চীনে আছে। ফলাফল, তাদের শ্রমবাজারও সস্তা।
সাপে নেউলে সম্পর্ক হলেও, বিশাল গরিব মানুষের বেকারত্ব মেটাতে হয় উন্নয়নশীল দেশ চীনকে!
ফলাফল, যতই শত্রুতা থাকুক, তাইওয়ানের সাথে ব্যবসা ঠিকই করতেছে চীন। যেমন উপরে শুরুতে যতগুলো কোম্পানির নাম বললাম, সবগুলো কোম্পানির হেড অফিস তাইওয়ানে হলেও শাখা অফিস এবং শাখা ফ্যাক্টরি চীনে আছে।
লক্ষ লক্ষ চাইনিজের দারিদ্র বিমোচন হচ্ছে, কর্মসংস্থান হচ্ছে এতে।
ফলাফল, এগুলো আপনি বাংলাদেশে বসেও কিনতে পারতেছেন। তাইওয়ানের সাথে আপনার রিলেশন থাক আর না থাক। কারণ, এসব পন্য যাতে বিক্রি হয়, সেটার নিশ্চিত করার মাথাব্যাথা তাইওয়ানের চেয়েও চীনাদের বেশি।
একারণে প্যাকেটে সবসময় made in china লিখা দেখবেন। যদিও কোম্পানি তাইওয়ানের।
Lenovo আর ইদানীং আসা Xiaomi ছাড়া চীনের আর তেমন ভালো ব্রান্ড খুবএকটা দেখবেন না। (রিসেন্টলি হোয়াওয়ে এসেছে)
আপনি যখন Foxconn মাদারবোর্ড কম্পিউটারে লাগাচ্ছেন, তখন হয়ত Foxconn কোম্পানির চীনের ফ্যাক্টরিতে চাইনিজ কর্মীরা অত্যাধিক কাজের চাপে, ইনহিউমেন কন্ডিশনে কাজ করে করে একসময় ডিপ্রেশনে ভুগে আত্মহত্যা করতেছে।
এমন এক ঘটনা ঘটেছিলো। Foxconn এর কর্মীদের এই আত্মহত্যার ঘটনায় চীন সরকার তাইওয়ানের Foxconn কোম্পানিকে গালিগালা করেছিলো।
ব্যস... এটুকুই।
লোকদেখানো কিছু মামলা হয়েছিলো।
এসব পড়লে আমাদের রানা প্লাজার কথা মনে আসে।
হায়'রে সস্তা শ্রম। শ্রমিকের শ্রম কিভাবে সস্তা হয় !! আর সেটা নিয়ে গর্ব করা পলিটিসিয়ানেরও অভাব নয় না।
আমার দেশের মানুষের শ্রমের মুল্য অনেক কম, এই কথা বলাটা গর্বের নয়, লজ্জার।
যাই হোক, তাইওয়ানের উপকুলের এলাকাগুলোতে এন্টি ট্যাংক ম্যাকানিজম দিয়ে ঘেরা। তাইওয়ান ভয়ে ভয়ে থাকে কখন কমিউনিস্টরা আক্রমন করে চীন থেকে। মাত্র ১৮০ কিমি দূরে বলে কথা।
তবে ওই যে বললাম, তাইওয়ানের আর্মি অনেক শক্তিশালী। সফিস্টিকেটেড। আর মার্কিন আর্মির বিশাল ঘাটি আছে সেখানে। আমেরিকার সাথে রক্ষাচুক্তিও করা আছে।
সুতরাং... বুঝতেই তো পারেন
তাইওয়ানের নিজেস্ব ভাষা আছে। আদিবাসীদের ভাষা। কিন্তু তাইওয়ান সরকার স্কুল কলেজে এখনো চীনা ভাষা শিক্ষাতে প্রাধান্য দেয়। কারণ তারা নিশ্চিত, একদিন না একদিন মুল চীনের ভুমি আবার তারা ফিরে পাবে। এক পতাকার নিচে আবার থাকবে এক চীনের মানুষ গনতান্ত্রিক, পুজিবাদী republic of China
আমাদের দেশেও যেসব দলের সাথে চীনের সম্পর্ক একটু বেশি ভালো, তারা দেখবেন চীনকে খুশি করার জন্য সবসময় বলে, তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
হা, কথাখানা কেবলই বলার জন্য বলা। বাস্তবে তাইওয়ানের চুল ছেড়ার ক্ষমতা চীনের আছে কিনা, সন্দেহ আছে। থাকলে অনেক আগেই চুল ছিড়তো।
তাইওয়ানের উপকুল থেকে আগে বিশাল বড় লাউড স্কিপার দিয়ে, আবার মাঝেমাঝে গোয়েন্দা বাহিনীর লিফলেট ছড়িয়ে চীনের মানুষকে কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে সাধীনতা সংগ্রাম করতে আহবান জানানো হয় তাদের ভাষায়, evil কমিউনিস্ট হটাও, চীন বাঁচাও।
আর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কাছে তাইওয়ান হল আমেরিকার দালাল।
চীনের আসলে ভয় কম নেই।
সামনে তালাকেই চীন তাইওয়ান, জাপান, ফিলিপাইন, দক্ষিন কোরিয়ার চেহারা দ্যাখে। সবই চীনের নাকের ডগায়। এসব দেশ ইকোনমিক্যালি অনেক পাওয়ারফুল। এবং সবগুলো দেশের সাথে আমেরিকার মিউচুয়্যাল প্রোটেকশন ট্রিটি সাইন করা। এবং সবগুলো দেশে আমেরিকার বিশাল বিশাল সামরিক ঘাটি আছে।
এই রিজিওনে চীনের বন্ধু বলতে উপরের রুশরা আর উত্তর কোরিয়া। এই যা।
তাইওয়ানে 95% মানুষ চাইনিজ। ২% আদিবাসী।
দ্বীপটি আবিস্কার করেছিলো ডাচ আর স্প্যানিশরা। এরপরই মুলত মুলভুমি থেকে চাইনিজরা গিয়ে বসবাস শুরু করে।
একসময় জাপান দ্বীপটিকে দখলও করেছিলো। যাই হোক, সেসব পুরন কথা।
তাইওয়ানের আর্মির নাম Republic of China Armed Forces
প্রায় ছয় লক্ষ মানুষ মিলিটারির জন্য available...
মিলিটারি বাজেট ১০ বিলিয়ন ডলার। আমেরিকা, ফ্রান্স, ইসরাইল, জার্মানি সহ উন্নত সবদেশই এর মিলিটারি সাপ্লাইয়ার।
কত প্যাচপুচ
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.