বাস্তবে অজিত দোভালের ক্যারিয়ার জেমস বন্ডের চেয়েও ইন্টারেস্টিং।
১৯৭১ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১৭ বার ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সে হাইজ্যাকিং'এর ঘটনা ঘটেছে। এবং প্রতিবারই এই অজিত দোভাল টেরোরিস্টদের সাথে নেগোসিয়েশন করেছেন। এবং সফলভাবে।
সুতরাং বুঝতেই পারতেছেন, মুখ চালু লোক। এবং মানুষকে কনভিন্স করার অসাধারণ ক্ষমতা আছে উনার।
ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসে ক্যারিয়ার শুরু। এরপর সেখান থেকে ইন্ডিয়ান ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর আন্ডারকভার এজেন্ট।
রীতিমত স্পাই।
ভারতের মিজোরামে চলছিল তখন বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন। অজিত দোভাল ঢুকে পড়েন Mizo National Front এর ভেতর। তাদের সাথে মিশে চীনে এবং মিয়ানমারের মাটিতে লুকিয়ে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাটিতে থেকেছেন। মিশে গিয়েছিলেন তাদের টপ লিডারদের সাথে। এরপর Mizo National Front (MNF) এর সাতজন কমান্ডারদের ভেতর ছয়জনকে তিনি কনভিন্স করাতে সক্ষম হয়েছিলেন ভারতীয় সরকারের সাথে শান্তি আলোচনায় যেতে।
এবং তাহারা কেউই বুঝতে পারেনি, দোভাল মুলত ভারত সরকারেরই স্পাই।
তাহলে বুঝে দেখুন, কনভিন্স করার ক্ষমতা তার কি অসাধারণ !!
দোভাল না হলে মিজোরাম ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রনে বাইরে চলে যেতো হয়ত।
এবং ঠিক একই কাজ তিনি করেছেন সিকিমে।
সিকিমকে ভারতের সাথে জুড়ে নেবার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ রোল প্লে করেছিলো অজিত দোভাল।
এবং সেখানেই আন্ডারকাভার স্পাই হিসেবে ঢুকে গিয়েছিলো সিকিম সরকারের উচ্চমহলে। এরপর যথারীতি তার কনভিন্সিং ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে কার্যউদ্ধার করে ছেড়েছিলেন।
সিকিম আজ ভারতের অংশ।
অজিত দোভাল এরপর চলে যান পাকিস্তানে। কোরান মুখস্ত তার। পাকিস্তানে সাত বছর আন্ডারকাভার স্পাই হিসেবে থেকেছেন তিনি। এবং সেখানে মুসলিম হিসেবে থেকেছেন। রেগুলার মসজিদে যেতেন। নামাজ পড়তেন। পাকিস্তানিদের সাথে একেবারে মিশে গিয়েছিলেন।
ভারতের গোল্ডেন টেম্পেলে Sikhs ইন্সার্জেন্সি শুরু হলে দোভাল পাকিস্তানি গোয়েন্দাবাহিনীর স্পাই ছদ্মবেশ নিয়ে ঢুকে পড়েন গোল্ডেন টেম্পেলে। :P
সেখানে Sikhs বিদ্রোহীদের গিয়ে বলেছিলেন, ভারত সরকারের বিরুদ্ধে আপনাদের সংগ্রামে পাকিস্তান আপনাদের পাশে থাকবে। হেল্প করার জন্য আমাকে পাঠিয়েছে। :P অর্থাৎ তিনি আইএসআই এজেন্টের ছদ্মবেশে Sikh বিদ্রোহীদের সাথে মিশে গেলেন। এরপর তাদের কাছ থেকে ক্রিটিক্যাল সব তথ্য নিয়ে ইন্ডিয়ান ইন্টেলিজেন্সকে জানাতে শুরু করলেন। তার তথ্যের উপর ভিক্তি করে ভারতীয় সেনারা গোল্ডেন টেম্পলে Operation Black Thunder পরিচালনা করে।
In 1988, Doval was granted one of the highest gallantry awards, the Kirti Chakra, becoming the first police officer to receive a medal previously given only as a military honour.
দোভাল ইন্ডিয়ান ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর অপারেশন উইংএর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রায় একযুগেরও বেশি সময়।
এবং পরে Multi Agency Centre (MAC), এবং Joint Task Force on Intelligence (JTFI) এর চেয়ারম্যানও ছিলেন।
অজিত দোভাল জম্মু কাশ্মিরের একজন প্রাক্তন MLA, Mohammad Yusuf Parray কে দিয়ে Counter insurgency pro-India militant outfit, Ikhwan-ul-Muslemoon সংগঠন খুলে ফেলেন ১৯৯৬ সালে। এদের দিয়ে pro-Pakistani militants দের কাউন্টার দিতে শুরু করেন।
অর্থাৎ কাটা দিয়ে কাটা তোলা।
তখন দোভাল ছিলেন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর অপারেশন উইংএর চিফ।
২০০৫ সালে অজিত দোভাল অবসর নিয়েছিলেন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর চিফ হিসেবে।
এরপর কিছুদিন অবসর কাটানোর পর রাজনীতিতে আসেন।
২০১৪ সাল থেকে মোদী সরকারের national Security advisor হিসেবে দায়িত্বপালন শুরু করেন।
২০১৪ সালে সিরিয়াতে আইসিসের হাতে আটক ৪৬ জন ভারতীয় নার্সের মুক্তির জন্য Hostage negotiation এই অজিত দোভালই করেছিলেন এবং তিনি নার্সদের মুক্ত করতে সক্ষম হন।
অজিত দোভাল ভারতীয় ফরেন পলিসি'তে বেশকিছু পরিবর্তন ইতিমধ্যেই এনেছেন। ভারত সরকারের অন্যতম প্রভাবশালী নীতিনির্ধারক এখন অজিত দোভাল।
একটা দীর্ঘসময় ইন্ডিয়ান কোনো প্রধানমন্ত্রী ইসরাইলে যেতো না মধ্যপ্রাচ্যের সাথে সম্পর্ক খারাপ হবে, এই ভয়ে। দোভাল এসে ঠিকই মোদিকে ইসরাইলে পাঠিয়েছে। এবং এই ভিডিও টেনে ২৩.০০ মিনিটে যান, সেখানে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অজিত দোভালকে উদ্দেশ্য করে কি বলে, খেয়াল করে শুনুন।
ReplyDeletehttps://www.youtube.com/watch?v=sKFkUM9zkRA